জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, ২৭শে মার্চ বিকাল ৫:১৩ মিনিট পর্যন্ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১,০০,৭১৭ জন নিশ্চিত কোভিড-১৯ রোগী এবং ১,৫৪৪ জন মারা গেছেন, প্রতিদিন প্রায় ২০,০০০ নতুন রোগীর খবর পাওয়া যাচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোভিড ১৯ মোকাবেলায় ২.২ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক উদ্দীপনা বিলটি আইনে স্বাক্ষর করেছেন, বলেছেন যে এটি আমাদের পরিবার, কর্মী এবং ব্যবসাগুলিকে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে। সিএনএন এবং অন্যান্য মার্কিন মিডিয়া জানিয়েছে যে বিলটি আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এবং সুদূরপ্রসারী ব্যবস্থাগুলির মধ্যে একটি।

ইতিমধ্যে, নভেল করোনাভাইরাস সনাক্তকরণ ক্ষমতা উন্নত হতে শুরু করে, কিন্তু মঙ্গলবার পর্যন্ত, শুধুমাত্র নিউইয়র্কে ১,০০,০০০ এরও বেশি লোকের পরীক্ষা করা হয়েছে এবং ৩৬টি রাজ্যে (ওয়াশিংটন, ডিসি সহ) ১০,০০০ এরও কম লোকের পরীক্ষা করা হয়েছে।

২৭শে মার্চ, রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুরোধে তার সাথে টেলিফোনে কথোপকথন করেন। কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের পর এটি ছিল প্রথম এবং দ্বিতীয় কল।

বর্তমানে, মহামারীটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে এবং পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর। ২৬শে মে, রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জি-২০ বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন এবং "মহামারীর বিরুদ্ধে যৌথভাবে লড়াই এবং অসুবিধাগুলি কাটিয়ে ওঠা" শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিয়েছিলেন। তিনি কোভিড-১৯ মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধে কার্যকর আন্তর্জাতিক যৌথ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং দৃঢ় প্রচেষ্টার আহ্বান জানান এবং বিশ্ব অর্থনীতিকে মন্দার কবলে পড়া থেকে রক্ষা করার জন্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি সমন্বয় জোরদার করার আহ্বান জানান।

ভাইরাস কোন সীমানা মানে না এবং মহামারী কোন জাতি মানে না। রাষ্ট্রপতি শি যেমন বলেছেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে, চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত।"

ট্রাম্প বলেন, “গত রাতে জি-২০ বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনে মিঃ প্রেসিডেন্টের ভাষণ আমি মনোযোগ সহকারে শুনেছি এবং আমি এবং অন্যান্য নেতারা আপনার মতামত এবং উদ্যোগের প্রশংসা করি।

ট্রাম্প শি'র কাছে চীনের মহামারী নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন উভয়ই কোভিড-১৯ মহামারী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে এবং মহামারী মোকাবেলায় চীন ইতিবাচক অগ্রগতি অর্জন করেছে দেখে তিনি আনন্দিত। চীনা পক্ষের অভিজ্ঞতা আমার কাছে খুবই জ্ঞানগর্ভ। আমি ব্যক্তিগতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন যাতে বিভ্রান্তিমুক্ত থাকে এবং মহামারী-বিরোধী সহযোগিতার উপর মনোযোগ দেয় তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করব। মহামারী মোকাবেলায় আমাদের পক্ষকে চিকিৎসা সরবরাহ করার জন্য এবং কার্যকর মহামারী-বিরোধী ওষুধের গবেষণা ও উন্নয়নে সহযোগিতা সহ চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে বিনিময় জোরদার করার জন্য আমরা চীনা পক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে বলেছি যে আমেরিকান জনগণ চীনা জনগণকে সম্মান করে এবং ভালোবাসে, চীনা শিক্ষার্থীরা আমেরিকান শিক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থী সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চীনা নাগরিকদের সুরক্ষা দেবে।

আশা করা যায় যে, গোটা বিশ্ব এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হবে এবং এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে।